রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
আগামীর বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চিত উল্লেখ করে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে তাই আমাদেরও রেশনিং করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) আয়োজনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
করোনার ধকল শেষ হতে না হতেই বিশ্বের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৈরি করেছে দীর্ঘমেয়াদী সংকট। সেই সংকটে দিনকে দিন বাড়ছে জ্বালানির দাম। সেই প্রভাব গিয়ে পড়ছে নিত্যপণ্যের ওপর। আসছে শীত মৌসুম নিয়ে বহুবিধ কারণে উন্নত বিশ্বও শঙ্কিত। মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে এসব সংকট থেকে মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশও।
প্রায় ৫ লাখ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত আইডিইবির ২৪তম জাতীয় সম্মেলনে আবারও দেশের মানুষকে সবদিক বিবেচনা করে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে-উল্লেখ করে দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, তারপরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজেই এটাও আমার আহ্বান থাকবে কোনো জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সবার মাঝে দেশপ্রেম ছিল বলেই পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেছে। সেই দেশপ্রেম নিয়েই চলমান সংকট মোকাবিলার কথা বলেন তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিবহন খরচও। আবার বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এর থেকে উত্তরণের চেষ্টা চলছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে, এখন থেকেই তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে দক্ষ জনশক্তিতে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনোর পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। সমস্যা সমাধানে সংকট উত্তরণে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে মুজিবর্ষ উপলক্ষে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য রমনার আইডিইবি প্রান্তের অনুষ্ঠানে তিনজন প্রকৌশলীকে আইডিইবি স্বর্ণপদক ও সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন একটি দেশের সবকিছুই ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত। সেই সময় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররাই দেশ গঠনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন। তাই গণমানুষের প্রকৌশলীও বলা হয় এ প্রকৌশলীদের।